তালাক দাতা নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন অফিসে তালাকের সকল কার্য সম্পাদন করার পর তালাকের এফিডেভিট বা হলফনামা ( Divorce Affidavit ) করতে হয়। স্থানীয় নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে নির্ধারিত এডভোকেট এর মাধ্যমে এফিডেভিট করা হয়। সাধারণত ১০০ টাকার স্ট্যাম্পের মধ্যে প্রয়োজনীয় লিখা লিখে এফিডেভিট দাতা স্বাক্ষর করে নোটারি এডভোকেট এর স্বাক্ষর ও সীল করে নিতে হয়। তবে নিয়ম হলো ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প ব্যবহার করা।
এফিডেভিট এ কি কি লিখতে হয়
- এফিডেভিট দাতার নাম
- এফিডেভিট গ্রহীতার নাম
- বিবাহের তারিখ ও দেনমোহরের পরিমাণ
- যে কারণে এফিডেভিট গ্রহীতাকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তার কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা।
- তালাক দেওয়া।
- এফিডেভিট দাতা ও গ্রহীতা এখন থেকে স্বামী স্ত্রী নয় ও তাদের মধ্যে কোন প্রকার দায়-দাবী নাই বা রহিলোনা এবং করলেও তাহা সর্বাদালতে অগ্রাহ্য হইবে।
- এফিডেভিট দাতার ও সাক্ষীগণের স্বাক্ষর।
- এডভোকেট এর স্বাক্ষর ও সীল।
এফিডেভিট কেন করতে হয়
এফিডেভিট বা হলফনামা করার কারণে ভবিষ্যতে কেউ কাউকে স্বামী-স্ত্রী দাবি করতে পারবে না। স্বামী বলতে পারবে না যে এই মহিলা আমার স্ত্রী আবার স্ত্রীও বলতে পারবে না যে এই পুরুষ আমার স্বামী। কেউ যদি এমন দাবি করে তবে তা আইনত আদালতে স্বীকৃতি পাবে না। যদিও তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য তালাক নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া তালাকের নোটিশ প্রদান করাও বাধ্যতামূলক।
বিবাহ affidavit করে করছে কিন্তু রেজিস্ট্রি করে নাই এখন তালাক দিব ।কিভাবে শুধু affidavit করে কি তালাক দেওয়া যাবে
আইন অনুযায়ী বিবাহ কাবিনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করতে হয়। আর তালাক নিবন্ধন বা রেজিস্টার করতে হয় এফিডেভিট বাধ্যতামূলক নয়।
আপনি একজন অভিজ্ঞ উকিলের পরামর্শ গ্রহণ করলে উপকৃত হবেন।
Ami korte cai plz help,
ইহা করা বাধ্যতামূলক নয়। করতে চাইলে- নিকটস্থ নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ
আমার বর্তমান বয়স ২০ বছর। আমি লেখাপড়া করি। আমি বিয়ে করতে রাজি ছিলাম না। আর আমার বাবা টাকার জন্য আমাকে বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন আর আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন যদি আমি তার কথামতো বিয়ে না করি তাহলে উনি আমার মা কে তালাক দিবেন। এভাবে আমাকে জোর জবরদস্তি করে বিয়ে দিয়েছেন। এখন আমার বিয়ের ৫ মাস হয়েছে কিন্তু আমি আমার স্ত্রী কে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমার স্ত্রীর পূর্বে একটা অ্যাফেয়ার্স ছিল। এজন্য আমরা স্বামী-স্ত্রী সুখে থাকতে পারছি না। আবার আমার স্ত্রী তার বাবা মা কে ভয় করার কারনে আমাকে ছেড়েও দিচ্ছে না পাছে তারা ওকে কিছু করে না বসে । এখন আমি আমার স্ত্রী কে তালাক দিতে চাই। অনুগ্রহ করে আমাকে সাহায্য করেন। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
অভিভাবকরা সব সময় সন্তানের কল্যাণের কথা চিন্তা করে। তাই আপনার উচিত আপনার স্ত্রীকে মেনে নেওয়া এবং আপনার স্ত্রীর উচিত তার পূর্বের সম্পর্ক থেকে ফিরে এসে সম্পূর্ণভাবে আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনে নেওয়া। তাই হবে দুজনের জন্য এবং অভিভাবকদের জন্য প্রশান্তির।
আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে কিন্তু আমি তালাক মানতে রাজি না আমি কি সহায়তা পেতে পারি
আর যদি সাধারণভাবে ১ তালাক প্রদান করে তাহলে স্বামী ইচ্ছা করলে ৩ মাসের মধ্যে আপনাকে ফিরিয়ে নিতে পারেন। স্বামী যদি তালাক নিবন্ধন করে ৩ তালাক প্রদান করে তাহলেও আপনি মানতে বাধ্য থাকিবেন। তবে সবক্ষেত্রেই তালাক প্রদানে স্বামীর অধিকার রয়েছে।
প্রশ্নঃ
বিশেষ কারণে আমাদের স্বামী স্ত্রী উভয়ের সম্মতিতে তালাক হয়েছে। মোট মোহরানা ধার্য ছিলো এক লাখ। বিবাহের সময় এরমধ্যে নগদ দিয়েছি পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং অলংকার দিয়েছি পঞ্চাশ হাজার টাকার। এখন আমার জানার বিষয় হল পঞ্চাশ হাজার টাকার অলংকার মহরের মধ্যে গন্য হবে কি না? যদি গন্য হয় তাহলে স্ত্রী আমার কাছে মহরানা বাবদ আর কোনো টাকা দাবি করতে পারবে কি?
যদি কাবিননামায় দেনমোহর বাবদ নগদ ৫০,০০০ টাকা উল্ল্যেখ থাকে এবং ৫০,০০০ টাকা সম মূল্যের স্বর্ণের পরিমাণে প্রদানের কথা লিখা থাকে তাহলে আপনার স্ত্রী আর কোনো টাকা দাবি করতে পারবে না। করিলে আদালতে আগ্রাহ্য হইবে।
আস্সালামু আলাইকুম। আমার ভাই ভাবিকে মুখেও তালাক দিয়েছে এবং নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ ইশ্যু করা হয়েছে ২ মাস ৪ দিন আগে। কিন্তু ভাবি নোটিশ গ্রহণ করেনি। এখন তার অভিভাবক এবং স্হানীয় ক্ষমতাসীন নেতাদের নিয়ে ভাবিকে আবার নিয়ে আসার জন্যে চাপ দিচ্ছে। অন্যথায় পরিবারের সকলের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এখন কি করার আছে।
নোটিশ গ্রহণ করুক বা না করুক ৯০ দিনের মধ্যে সমঝোতা না করলে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।