জমি ক্রয়ের পর কাজ শেষ হয়ে যায় না। জমি ক্রয়ের পরে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। সম্পত্তিতে নিজের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হলে কিছু কাজ করতে হবে। তা না হলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। জমি ক্রয়ের আগে যেমন কিছু করণীয় আছে তেমনি জমি কেনার পর করণীয় গুলো হল:
১.জমি পরিমাপ করা
জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে একজন অভিজ্ঞ আমিন দ্বারা সম্পূর্ণ জমি পরিমাপ করে জমির পূর্বের মালিকের কাছ থেকে দখল বুঝে নিতে হবে। জমি মাপার সময় ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।
২.জমি দখল করা
জমির দখল বুঝে নেওয়ার পর ওই ভূমিতে নিজের দখল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এই জন্য সাইনবোর্ড দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া যেতে পারে যে, আমি এই জমির বর্তমান মালিক।এই জন্য মূলত যেসব কাজ করতে হবে তা হলো জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা, চাষাবাদ করা, গাছপালা রোপন করা, বেড়া দেওয়া অথবা বাউন্ডারি দেওয়াল করা।
৩.দলিল সংগ্রহ করা
রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল সংগ্রহ করতে হবে এই ক্ষেত্রে মূল দলিল পেতে দেরি হতে পারে। এজন্য যতক্ষণ না মূল দলিল হাতে পাওয়া যায় তার পূর্বে মূল দলিলের অনুলিপি বা নকল এর সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে নিতে হবে।
৪. নামজারির আবেদন করা
আপনি জমি ক্রয়ের পরেও জমির মূল মালিকের নাম কিন্তু বিক্রেতার নাম ই থেকে যায়। এই জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল নামজারির(mutation) আবেদন করতে হবে। যদিও নামজারি হতে দীর্ঘ সময় লাগে তবুও আপনি আবেদন করে রাখতে হবে। ইহা সংশ্লিষ্ট সহকারি কমিশনার ভূমি অফিসে করতে হয়।সম্পত্তি ক্রয়ের পর নামজারি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তা না হলে বিক্রেতা প্রতারণা করতে পারে। বিক্রেতা প্রতারণার মাধ্যমে একই জমি অন্য আরেকজনের কাছেও বিক্রি করে দিতে পারে। তাই এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।
৫. নামজারি খতিয়ান, ডিসিআর, কর কপি সংগ্রহ
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারি হলে নামজারি খতিয়ান নিতে হবে। সরকারি অন্যান্য খরচ বাবদ যে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে তার ডি,সি,আর(DCR) রশিদ এবং নতুন হোল্ডিং এ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করে তার দাখিলার কপি সংগ্রহ করতে হবে। এইসব কাগজ এবং দলিলপত্র শুধু সংগ্রহ করলেই হবে না তা সংরক্ষণও করতে হবে।
নতুন জমি কেনার পর যেন কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয় সেজন্যে সচেতন থাকতে হবে। উপরোক্ত কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে এই সংক্রান্ত জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে।