তালাক ফরম

তালাক নিবন্ধন বা রেজিস্টার

তালাক দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট নিকাহ ও তালাক রেজিস্টারের কাছে তালাক নিবন্ধন ( Divorce Register ) করতে হয়। তালাক নিবন্ধনের বা রেজিস্টার করার জন্যে বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত তালাক ফরম আছে। তবে তালাকের প্রকারভেদ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন তালাক ফরম রয়েছে।

তালাক নিবন্ধনে যা যা উল্লেখ করতে হয়

  • স্বামীর নাম ও তার পিতার নাম এবং ঠিকানা
  • স্ত্রীর নাম ও তার পিতার নাম এবং ঠিকানা
  • তালাকের তারিখ
  • কোন প্রকারের তালাক তা উল্লেখ করতে হয়
  • যে স্থানে তালাক প্রদান করা হয়েছে সেখানের জেলা ও থানা, গ্রাম/ নগরের নাম
  • যে ব্যক্তির ঘরে তালাক হয়েছে তার নাম ও তার পিতার নাম
  • তালাকের সাক্ষীদের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা
  • যে ব্যক্তি স্বামী/স্ত্রী -কে সনাক্ত করেছে তার নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা
  • রেজিস্টার করার তারিখ
  • তালাক দাতার স্বাক্ষর ও সাক্ষীগণের স্বাক্ষর এবং রেজিস্টার কারীর স্বাক্ষর
  • এছাড়াও ফরমভেদে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে হয়।
তালাক ফরম
তালাক নিবন্ধন বা রেজিস্টার ফরম(talak register form)

বাংলাদেশের তালাক আইন অনুযায়ী তালাক দেওয়ার পর প্রথমে সংশ্লিষ্ট নিকাহ ও তালাক রেজিস্টারের কাছে তালাক নিবন্ধন ফরমে তালাক নিবন্ধন বা রেজিস্টার করতে হয়। পরে তালাক প্রদানকারীকে তালাকের নোটিশ পাঠাতে হয়। এরপর তালাকের এফিডেভিট বা হলফনামা করতে হয়। তালাক নিবন্ধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার বা কাজী অফিসে নির্ধারিত নিবন্ধন ফি পরিশোধ করতে হবে।

তালাক নামা ফরম pdf ডাউনলোড করুন: স্বামী ডিভোর্স ফরম , স্ত্রী ডিভোর্স ফরম

10 thoughts on “তালাক নিবন্ধন বা রেজিস্টার”

    1. সাধারণত তালাক দেওয়া কোনো ভালো কাজ নয়। প্রয়োজনে উভয় পক্ষের অবিভাবকের মাধ্যমে মিমাংশা করে নিন। যদি একান্তই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা না যায় তাহলে তালাক দেওয়ার জন্য নিকটস্ত কাজী অফিসে যোগাযোগ করুন। তালাকের নোটিশ প্রদান,
      কখন তালাক কার্যকর হবে

  1. যদি স্বামী দেশের বাহিরে থেকে স্ত্রিকে তালাক দিতে চায়।তাহলে কিভাবে দিবে?

    1. বিদেশ থেকে তালাক প্রদান করার নিয়মটা বেশ জটিল পদ্ধতি। তবে মধ্যপ্রাচ্য ব্যাতীত বিশ্বের সকল দেশ থেকে তালাক দিতে পারবেন। এজন্য দেশে অবস্থিত কোন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে তালাকের নোটিশটি প্রস্তত করুন। আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আমমোক্তারনামা করে এর সাথে তালাকের নোটিশটি আপনার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। আমমোক্তার নামাটি যখন আপনার কাছে পৌঁছাবে আপনি সেখানে স্বাক্ষর করবেন এবং তালাকের নোটিশেও আপনি স্বাক্ষর করবেন। তবে এ কাজটি করতে হবে বিদেশী নোটারী পাবলিক, আদালতের বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা বাংলাদেশ দুতাবাসের বাণিজ্যদুত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির সম্মুখে। এবং তার দ্বারা মোক্তারনামাটি প্রত্যায়ন করে পাঠাতে হবে এবং নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা সত্যায়িত করাতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে স্ট্যাম্পযুক্ত হতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমমোক্তারনামাটি সত্যায়িত হওয়ার পর তা জেলা প্রশাসকের রাজস্ব কার্যালয়ে জমা দিয়ে ২০০ টাকার স্ট্যাম্প লাগাতে হবে এবং সেখানে আমমোক্তারনামা দলিলের ওপর একটি নাম্বার ও তারিখ পড়বে। এরকম বিদেশি আমমোক্তারনামার সঠিকতা যাচাই করতে হলে জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কার্যালয়ে গিয়ে ওই নাম্বার দিয়ে যাচাই করে নেয়া যায়। এরপর আমমোক্তারদাতা বিদেশে অবস্থানরত স্বামীর পক্ষে স্ত্রী যে এলাকায় বসবাস করছেন সে এলাকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/সিটি কর্পোরেশন মেয়রকে ওই তালাকের নোটিশ রাষ্ট্রীয় ডাকযোগে এডি সহযোগে প্রেরণ করবেন। সেই সাথে তালাক গ্রহীতাকে উক্ত নোটিশের নকল প্রদান করতে হবে।

  2. সাবরিনা

    আমার স্বামী ও আমি সম্মতিতে তালাক করতে চাই। সে ৪ বছর ধরে কর্মহীন এবং আমার ভরনপোষণ দিতে ব্যার্থ।সে ও চাই না এখন কি করণীয়

    1. নিকটস্থ নিকাহ রেজিস্টারের কার্যালয় বা কাজী অফিসে যোগাযোগ করুন। তবে ধৈর্য্য ধরে আল্লাহর কাছে চান যেন পারিবারিক অভাব দূর হয়ে যায়। বিচ্ছেদ সবসময় কল্যাণকর নাও হতে পারে। ধন্যবাদ।

  3. Md Ahmed Rubel

    তালাক হয়েছে সেটা জানার কোন উপায় আছে অনলাইনে, থাকলে জানাবেন।

    1. এখনও পর্যন্ত তালাক নিবন্ধন পদ্ধতি অনলাইন বা ডিজিটাল করা হয়নি। তবে ভবিষৎতে হতে পারে।

    1. নোটিশ এর সাথে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে পরবর্তীতে দেনমোহর নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে।

Leave a Reply to shafayet Cancel Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *